IDZK ভাটায় যেভাবে ইট সাজানো হয় তা সাবেক পদ্ধতির ভাটায় (FCBTK) ইট সাজানোর পদ্ধতি থেকে অনেকটাই আলাদা। IDZK ভাটায় ইট সাজানোর হরেক পদ্ধতি আছে। পূর্ব ভারতের ভাটা গুলিতে মূলত একটি সারিতেই ইট সাজানো থাকে। উত্তর ভারতের ভাটাগুলিতে আবার অন্যরকম ভাবে ইট সাজানো হয় যেটা এখানে পাবেন – “IDZK ভাটায় ইট সাজানো হয় কী ভাবে? [ইটেরসজ্জা-2]“।
FCBTK ভাটায় প্রতি সারিতে উল্লম্বভাবে সুরঙ্গের প্রস্থ বরাবর ইট সাজানো হয়। বাতাসের গতিপথের অভিমুখে পর পর সাজানো থাকে ইটের সারিগুলি।
যেকোনও IDZK ভাটায় প্রতি প্রকোষ্ঠ বরাবর ইট সাজানো হয়। এই ভাটাতেও প্রতি সারিতে উল্লম্বভাবে সুড়ঙ্গের প্রস্থ বরাবর ইট সাজানো হয়। তবে এই ভাটায় প্রতিটি সারির প্রস্থ এক হয় না। বাইরে থেকে ভিতর দিকে যাওয়া সারিগুলিতে ধাপে ধাপে সারির প্রস্থ বাড়তে থাকে। সাধারণত আটটি সারিতে সাজানো থাকে ইট।
FCBTK ভাটায় সবসারিতে ইটের সংখ্যা একই থাকায় বায়ুর পথ সোজা হয়। কিন্তু IDZK ভাটায় পাশাপাশি ইটের সারির ইটের সংখ্যা কম বেশি হওয়ায় বাতাসকে সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ বরাবর ধাক্কা খেতে খেতে এগোতে হয়। এর ফলে বাতাসের পথ হয় আঁকাবাঁকা।
প্রকোষ্ঠ তৈরি হয় নীচের নিয়ম মেনে:
প্রতিটি প্রকোষ্ঠে ইট যেভাবে সাজাতে হয়:
প্রকোষ্ঠের মধ্যে যেভাবে বায়ুনালী বা গ্যাসনালীগুলি উন্মুক্ত হয় সেটাই ভাটার ভিতরে বায়ুর গতিপথ নির্দিষ্ট করে। নতুন প্রযুক্তির ভাটায় প্রতিটি প্রকোষ্ঠের শেষসারি বায়ুনালী খোলে বাইরের দিকে। তার আগের সারির বায়ুনালী খোলে ভিতরের দিকে। এভাবে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকায় বাতাস ভাটার ভিতরে প্রতিটি প্রকোষ্ঠে এঁকেবেঁকে চলতে বাধ্য হয়।
এক সারির আঁকাবাঁকা ভাটায় বাতাস পাশাপাশি থাকা প্রকোষ্ঠে বিপরীত দিক দিয়ে ঢোকে বেরোয়। প্রথম প্রকোষ্ঠে যদি ডানদিকের ছিদ্র দিয়ে বাতাস ঢোকে, তবে দ্বিতীয় প্রকোষ্ঠে বাতাস ঢোকে বাদিকের ছিদ্র দিয়ে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে।
কোনও প্রকোষ্ঠে বাদিক দিয়ে বাতাস প্রবেশ করলে তা প্রকোষ্ঠের ডানদিক দিকে যেতে বাধ্য করা হয়, কারণ পরের প্রকোষ্ঠে ডানদিক দিয়েই ঢুকতে হবে বাতাসকে।
আবার পরের প্রকোষ্ঠে বাতাস ডানদিক দিয়ে ঢুকলে তাকে বাদিক দিয়ে এগিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়, কারণ পরের প্রকোষ্ঠে বাদিক দিয়ে ঢুকতে হবে বাতাসকে।
পার্শ্ববর্তী দুটি প্রকোষ্ঠে এমনভাবে বাতাস দিক পরিবর্তন করায় যাতে ভাটার মধ্য দিয়ে তাকে এঁকেবেঁকে চলতে হয়।
গলিতে ইট কেবলমাত্র সাজানো হয় আয়তক্ষেত্রের ছোটো দৈর্ঘ্য বরাবর। এই ছোট দৈর্ঘ্য বরাবর পথকেই গলি বলে।
এই এলাকায় প্রতিটি সারিতে ইট কিন্তু একই উচ্চতায় সাজানো হয়, যেমন হয় সাবেক ভাটার ক্ষেত্রে। এই এলাকায় বাতাস সোজা পথে এগোয়। গলি এলাকায় বাতাস ঢোকে সুড়ঙ্গের বাইরের দেওয়াল সংলগ্ন ফুটোগুলি দিয়ে। এরফলে বাতাস প্রকোষ্ঠের একেবারে শেষ কোনায় পর্যন্ত যেতে পারে। তাই যতো বেশি সম্ভব তাপ ইটের কাছে পৌঁছতে পারে। এইভাবে বাইরের দেওয়ালের ফুটো দিয়ে বাতাস ঢোকায় মিয়ানায় বিপরীত দিক থেকে বাতাস আর ঢুকতে পারেনা।